শুক্রবার 22 মুহাররম 1447 - 18 জুলাই 2025
বাংলা

আল্লাহর নাম ও গুণাবলির উপর ঈমানের ক্ষেত্রে সঠিক পদ্ধতি

প্রশ্ন

আল্লাহর নাম ও গুণাবলির ক্ষেত্রে আমার পদ্ধতি হলো: আল্লাহ তাআলা তার নিজের ব্যাপারে কুরআনে কিংবা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বচনে যা বলেছেন তা মানুষের বোধের কাছাকাছি এনে দেওয়ার জন্য বলেছেন। অন্যথায় "তারা আল্লাহকে নিজেদের জ্ঞানের আওতায় আনতে সক্ষম নয়”। নানান দল-মত-গোষ্ঠীকে আমি পরোয়া করি না।

উত্তর

আলহামদু লিল্লাহ।.

এক:

আল্লাহ তাআলা নিজের জন্য এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর জন্য যে সমস্ত নাম ও গুণাবলি সাব্যস্ত করেছেন সেগুলোর প্রতি ঈমান আনা আবশ্যক। সেগুলোর কোনো ধরন নির্ণয় না করে, কোনো ধরনের সাদৃশ্য স্থাপন না করে, বিকৃতি না করে এবং অর্থহীন না করে।

এই ঈমান আনার মাঝে অন্তর্ভুক্ত হবে এই্ যে, তিনি সর্বশ্রোতা, তিনি সর্বদ্রষ্টা, তিনি সর্বজ্ঞ ও তিনি প্রজ্ঞাময়। তার গুণাবলির মাঝে রয়েছে শ্রবণ, দর্শন, জ্ঞান, প্রজ্ঞা, আরশের উপর ওঠা, আগমন করা, আনন্দিত হওয়া, হাসা, রাগান্বিত হওয়া, সন্তুষ্ট হওয়া, তার রয়েছে চেহারা এবং দু'টি হাত যেমনটি তিনি নিজের ব্যাপারে বলেছেন এবং মাসুম (নিষ্পাপ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার ব্যাপারে বলেছেন। এগুলো ছাড়াও আরো যত নাম ও গুণাবলি রয়েছে সবগুলোর ক্ষেত্রে একই বক্তব্য প্রযোজ্য।

এতে (নাম ও গুণাবলিতে) ঈমান আনা আল্লাহ তাআলার উপর ঈমান আনার অন্তর্ভুক্ত। এটি ঈমানের মূল ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ।

শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যা রাহিমাহুল্লাহ বলেন: “আল্লাহর উপর ঈমান আনার অন্তর্ভুক্ত হলো: তিনি তার মহান কিতাবে যে সমস্ত গুণে নিজেকে গুণান্বিত করেছেন এবং তাঁর রাসূল যে সমস্ত বিশেষণ আল্লাহর ক্ষেত্রে উল্লেখ করেছেন সেগুলোর প্রতি ঈমান আনা; এতে কোনো প্রকার বিকৃতি, অর্থহীন করা, আকৃতি নির্ধারণ করা ও সাদৃশ্য স্থাপন ছাড়া।

বরং তারা বিশ্বাস করে যে কোনো কিছুই আল্লাহর মতো নয়; আর তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা।

আল্লাহ নিজেকে যে সমস্ত গুণে গুণান্বিত করেছেন সেগুলোকে তারা নাকচ করে না। আল্লাহর কথাকে তারা যথাস্থান থেকে বিকৃত করে না। তারা আল্লাহর নাম ও আয়াতসমূহকে বিকৃত করে না, এগুলোর আকার নির্ধারণ করে না এবং সৃষ্টিকুলের গুণের সাথে সাদৃশ্য দেয় না। কারণ মহান আল্লাহর নামে বা গুণে সমকক্ষ কেউ নেই, তাঁর সমতুল্য কেউ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই। সৃষ্টির সাথে মহান আল্লাহর তুলনা দেয়া চলে না।

নিজের ও অন্যদের ব্যাপারে তিনিই সবচেয়ে বেশি জানেন। সৃষ্টিকুলের কথার চেয়ে তাঁর কথা সত্য ও উত্তম। অতঃপর তাঁর রাসূলরা সত্যবাদী ও সত্যায়নকারী। তারা তাদের মত নয় যারা না জেনে কথা বলে। এ কারণে আল্লাহ তাআলা বলেছেন:

سُبْحَانَ رَبِّكَ رَبِّ الْعِزَّةِ عَمَّا يَصِفُونَ * وَسَلَامٌ عَلَى الْمُرْسَلِينَ * وَالْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ

“তারা যে সব বিশেষণ আরোপ করেছে সম্মান ও শক্তির মালিক তোমার প্রভু তা থেকে পবিত্র। রাসূলদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক! সমস্ত প্রশংসা জগতসমূহের মালিক আল্লাহর জন্য।”

তিনি নিজেকে রাসূলদের বিরোধিতাকারী ব্যক্তিদের বিশেষণ থেকে পবিত্র ঘোষণা করেছেন। তারপর রাসূলদের জন্য শান্তি ও নিরাপত্তার ঘোষণা করেছেন। যেহেতু রাসূলগণ যা বলেছেন তা অপূর্ণতা ও দোষ মুক্ত।

আল্লাহ যখন নিজের নাম ও গুণের বিবরণ দিয়েছেন তখন তিনি নাকচকরণ ও সাব্যস্তকরণের মাঝে সমন্বয় করেছেন।

সুতরাং আহলুস-সুন্নাহ ওয়াল-জামায়াতের জন্য রাসূলদের আনীত বক্তব্য থেকে সরে আসার কোনো সুযোগ নেই। কারণ এটি সরল পথ। এটি তাদের পথ যাদের প্রতি আল্লাহ অনুগ্রহ করেছেন। তাদের মাঝে রয়েছেন নবীরা, সিদ্দীকগণ, শহীদগণ ও নেককার বান্দারা।”[শাইখ খলীল হার্‌রাস রচিত আল-ওয়াসিত্বিয়্যার ব্যাখ্যা (পৃ. ৬৫)]

দুই:

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীরা যা অনুসরণ করতেন তা অনুসরণ করা এবং প্রবৃত্তি-পূজারী ও বিদাতীরা অন্য যে বিষয়ের উপর আছে তা পরিহার করার মাঝেই রয়েছে মুক্তি।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আমার উম্মত তিয়াত্তরটি দলে বিভক্ত হবে। সবাই জাহান্নামে যাবে; একটি ছাড়া।” সাহাবীরা প্রশ্ন করলেন: হে আল্লাহর রাসূল, সেটি কোন দল? তিনি উত্তর দিলেন: “আমি ও আমার সাহাবীরা যার উপর আছি (সেটির অনুসারীরা)।”[যেমনটি তিরমিযীতে (২৬৪১) আব্দুল্লাহ ইবনে আমর থেকে বর্ণিত হয়েছে এবং তিরমিযি হাদিসটিকে হাসান বলেছেন এবং ইবনুল আরাবীও ‘আহকামুল কুরআন’ (৩/৪৩২) গ্রন্থে, ইরাকী ‘ইহয়া’ গ্রন্থের তাখরীজে (৩/২৮৪) এবং আলবানী সহীহুত তিরমিযীতে একে হাসান বলেছেন]

তাই আপনি যদি মুক্তি পেতে চান তাহলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীদের পথে চলুন। এ পথেই সালাফগণ (পূর্বসুরীরা) চলেছেন। তারা সকল নাম ও গুণাবলীর প্রতি ঈমান রাখতেন। সেগুলোর অপব্যাখ্যা, বিকৃতি, ধরন নির্ধারণ ও সদৃশ স্থাপন করতেন না।

আর আপনি যে বললেন: তা মানুষের বোধের কাছাকাছি এনে দেওয়ার জন্য বলেছেন। অন্যথায় "তারা আল্লাহকে নিজেদের জ্ঞানের আওতায় আনতে সক্ষম নয়"।

এ কথার মাধ্যমে আপনি যদি বোঝাতে চান যে আমরা এই গুণাবলীর প্রকৃত রূপ ও অবস্থা জানি না, আমাদের জ্ঞানের আওতায় এগুলোকে আনতে পারি না; তাহলে এটি সত্য। কারণ আমরা জানি আল্লাহ সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা। শ্রবণের অর্থ শ্রুত বিষয়গুলো অনুধাবন করা। আর দর্শনের অর্থ দর্শনীয় বিষয়গুলো অনুধাবন। কিন্তু আমরা এই মহান শ্রবণের ধরন জানি না, আমাদের জ্ঞান এই শ্রবণকে বেষ্টন করতে পারে না। আল্লাহ তাআলা একই সময়ে সকল আওয়াজ শুনতে পান, সেটি ধরন, ভাষা ও উপভাষার দিক থেকে যতই ভিন্ন হোক না কেন। তিনি একই সময়ে উর্ধ্বজগত ও নিম্নজগতের সব কিছু দেখতে পান। তার এই দর্শনের ধরন আমরা জানি না। তার দর্শন আমাদের জ্ঞানের আওতাভুক্ত নয়। অনুরূপ বক্তব্য আল্লাহর সমস্ত গুণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। আমরা এক দিক থেকে গুণগুলোকে জানি, অন্য দিক থেকে জানি না। আমরা সাব্যস্ত করণ ও অর্থ জানার দিক থেকে গুণগুলোকে জানি। কিন্তু ধরন ও প্রকৃত রূপের দিক থেকে সেগুলোকে জানি না।

এটি কেবল আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য তা নয়। বরং আমরা দেখতে পাই না এমন সকল গায়েবী (অদেখা) বিষয়েই প্রযোজ্য। যেমন: জান্নাতের নিয়ামত। আমরা জানি জান্নাতে সুরা ও মধু থাকবে। আমরা (দুনিয়ায়) যা দেখেছি সে আলোকে এর অর্থ জানি। কিন্তু আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি যে জান্নাতের সুরা ও মধু আমাদের সুরা ও মধুর মতো নয়।

আল্লামা আল-ওয়াসেত্বী রাহিমাহুল্লাহ বলেন: ‘আল্লাহর গুণাবলি মৌলিকভাবে ও সাব্যস্ত হওয়ার দিক থেকে জ্ঞাত বিষয়। আর ধরন নির্ণয় ও সীমা নির্ধারণের দিক থেকে বোধগম্য নয়। তাই মুমিন এক দিক থেকে এ ব্যাপারে দৃষ্টিসম্পন্ন, আর অন্যদিক থেকে অন্ধ। সাব্যস্ত করা ও অস্তিত্ব স্বীকার করার দিক থেকে সে দৃষ্টিসম্পন্ন, কিন্তু ধরন নির্ণয় ও সীমা নির্ধারণের দিক থেকে অন্ধ। এভাবে আল্লাহ নিজেকে যে সমস্ত গুণে গুণান্বিত করেছেন সেগুলো সাব্যস্ত করা এবং বিকৃতিকরণ, সাদৃশ্য দান ও নিরবতা অবলম্বনকে নাকচ করার মাঝে সমন্বয় করা সম্ভব। আল্লাহ আমাদের কাছে তাঁর গুণাবলি তুলে ধরার মাধ্যমে এমনটিই চেয়েছেন যাতে এর মাধ্যমে আমরা তাকে চিনতে পারি, গুণগুলোর স্বরূপের প্রতি ঈমান আনতে পারি এবং গুণগুলোকে সাদৃশ্য দেয়া থেকে নাকচ করতে পারি।[সমাপ্ত][আন-নাসীহা ফী-সিফাতির-রাব্বি জাল্লা ওয়া-‘আলা (পৃ. ৪১-৪২)]

আর যদি আপনি বোঝাতে চান যে এই গুণাবলির কোনো প্রকৃত রূপ নেই, বরং কাছাকাছি কোনো কিছু বলা হয়েছে বা কল্পনা করানোর জন্য এগুলো উল্লেখ করা হয়েছে, তাহলে এটি বাতিল। এটি দার্শনিকদের অভিমত। তাদের দাবি: এগুলো কাল্পনিক বিষয় যার কোনো বাস্তবতা নেই। জনসাধারণকে উপাস্যে বিশ্বাস করানোর জন্য এমনটা বলা হয়েছে।

সাফফারীনী রাহিমাহুল্লাহ বলেন: “তাদের (আহলুস সুন্নাতের) পথ থেকে বিচ্যুত দল তিনটি: কল্পনাপন্থী, অপব্যাখ্যাপন্থী ও অজ্ঞতাপন্থী।

কল্পনাপন্থী: এরা হলেন দার্শনিকরা ও তাদের অনুসারী কালামবিদ ও সুফীবাদীরা। তারা বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈমান ও শেষ দিবসের ব্যাপারে যা যা উল্লেখ করেছেন সেগুলো প্রকৃত অবস্থার কাল্পনিক উপস্থাপন, যাতে করে জনসাধারণ উপকৃত হয়। এর মাধ্যমে সত্যের বিবরণ প্রদান করা, সৃষ্টিকে হেদায়াত দেওয়া বা প্রকৃত অবস্থা স্পষ্ট করা হয়নি। এমন বক্তব্যের কুফরীর চেয়ে বড় কুফরী আর নেই।

অপব্যাখ্যাপন্থী: তারা বলেন আল্লাহর গুণাবলির ব্যাপারে উদ্ধৃত দলিলগুলোর মাধ্যমে রাসূল মানুষকে বাতিল আকীদায় বিশ্বাস করানোর ইচ্ছা করেননি। বরং তিনি এমন কিছু অর্থ উদ্দেশ্য করেছেন যেগুলো তাদের কাছে স্পষ্ট করেননি এবং যেগুলোর দিশা তিনি তাদেরকে দেননি। কিন্তু, তিনি চেয়েছেন তারা যেন অনুসন্ধান করে নিজেদের বিবেক-বুদ্ধি দিয়ে সত্য জানতে পারে। তারপর দলিলের পাঠগুলোকে এগুলোর নিজস্ব অর্থ থেকে ভিন্নার্থে ব্যাখ্যা করা চেষ্টা করে।

এর দ্বারা নবীর উদ্দেশ্য হচ্ছে তাদেরকে পরীক্ষা করা, তাদের উপর দায়িত্ব অর্পণ করা এবং দলিলকে এর স্ব-অর্থ ও মর্ম থেকে ভিন্নার্থে ব্যাখ্যার জন্য তারা নিজেদের চিন্তা ও বিবেক-বুদ্ধিকে পরিশ্রান্ত করা, যাতে করে তারা সেই ভিন্নার্থের মধ্যে সত্যকে জানতে পারে। এটি কালামবিদ, জাহমিয়্যা, মুতাযিলা ও তাদের পথ অনুসারীদের বক্তব্য। অথচ তাদের এ বক্তব্যের মধ্যে পথভ্রষ্ট করার অভিপ্রায়, কল্যাণকামিতার অনুপস্থিতি, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা নিয়ে এসেছেন সেটার সাথে বৈপরীত্য এবং আল্লাহ তার নবীকে যে দয়া ও মায়ার গুণান্বিত করেছেন সে গুণের সাথে সাংঘর্ষিক হওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট। এই লোকগুলো সুন্নাহর পক্ষ নেওয়ার ভান ধরেছে। বাস্তবে এরা না ইসলামকে সাহায্য করেছে, আর না দার্শনিকদেরকে পরাভূত করেছে। বরং তারা বিকৃতি সাধনকারীদের জন্য দরজা খুলে দিয়েছে। দুষ্ট বাতেনী কারামিত্বা সম্প্রদায়কে কুরআন-সুন্নাহ বিকৃত করার কর্তৃত্ব দিয়ে দিয়েছে।

অজ্ঞতাপন্থী: এরা বলে: আল্লাহ তাঁর গুণাবলি বিষয়ক যে সমস্ত আয়াত নাযিল করেছেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেগুলোর অর্থ জানতেন না। এমনকি জিবরীল আলাইহিস সালামও সেই আয়াতগুলোর অর্থ জানতেন না। প্রথম যুগের অগ্রগামী মুসলিমরাও সেগুলোর অর্থ অবগত ছিলেন না। আল্লাহর গুণাবলি বিষয়ক হাদীসসমূহের ব্যাপারেও তাদের বক্তব্য একই। তাদের মতে, রাসূল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমন কথা বলেছেন যার অর্থ তিনি নিজেই জানতেন না। সুন্নাহ ও সালাফের অনুসরণের দাবিদার অনেকে এই অভিমত পোষণ করেন। আল্লাহর গুণাবলি সংক্রান্ত আয়াত ও হাদীসসমূহের ব্যাপারে তারা বলেন: এগুলোর অর্থ আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। আল্লাহর বাণী: “এর ব্যাখ্যা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না” এ আয়াত দিয়ে তারা দলীল প্রদান করে বলে: এগুলোকে আপাত অর্থের উপর ছেড়ে দিতে হবে এবং আপাত অর্থই উদ্দেশ্য। তবে তারা এটাও বলে যে, এগুলোর এমন একটি ভিন্ন অর্থ আছে যা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না।”[সমাপ্ত][লাওয়ামেউল আনওয়ার আল-বাহিয়্যাহ: ১/১১৬]

সূত্র: ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব